Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
জেলা শিক্ষা অফিসারের বার্তা
বিস্তারিত

সহস্রব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) তে শিক্ষার লক্ষ্য (সূচক -৪) নির্ধারণ করা হয়েছে, “সকলের জন্য সমতাভিত্তিক ও অন্তর্ভূক্তিমূলক শিক্ষা এবং জীবনব্যপী শিক্ষার সুযোগ তেরী করা ।” সেই লক্ষ্যকে ভিত্তি হিসেবে ধরে আমাদের নিজস্ব সূচক নির্ধারিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেঃ

১) প্রাতিষ্ঠানিক নিম্নমাধ্যমিক শিক্ষা সমাপনীর হার শতভাগ করা ।

২) মাধ্যমিক স্তরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, যথাপোযুক্ত পয়ঃ নিষ্কাষণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, কিশোর-কিশোরী শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সুষম করা ও মূল্যবোধ সম্পন্ন বৈশ্বিক নাগরিক তৈরী করা।

৩) মাধ্যমিক স্তরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীকে প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম করা।

৪) সাধারণ শিক্ষার সাথে শিক্ষার্থীকে যে কোন একটি ট্রেডের উপর কারিগরী দক্ষতা অর্জন সক্ষম করা।

৫) সকল শিক্ষার্থীকে বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে মাধ্যমিক স্তরের জন্য প্রযোজ্য দক্ষতাগুলো অর্জনে ও প্রয়োগ করার সক্ষমতা অর্জন করা এবং মানসম্মত জীবিকা অর্জনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা একটি পাহাড়ী জনপদ। এসডিজি তে নির্ধারিত সূচকগুলো অর্জনে খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক পরবর্তী শিক্ষা পরবর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাষ। মানব সম্পদ উন্নয়নের একটি অতীব গুরত্বপূর্ণ অবদান। মানব জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনে ব্যয় হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জন্য বরাদ্দকৃত এই সময় যথাযথ লক্ষ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হলে আগামী প্রজন্ম আরো জ্ঞান, দক্ষতা, কৌশল, মানবিক মূল্যবোধ, অর্থনৈতিক মূল্যবোধ, বৌদ্ধিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন হয়ে উঠবে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট শিক্ষানুরাগী, শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী সকলেই এর সুফল ভোগ করবে। তাই শিক্ষা প্রশাসনের তথা শিক্ষক হিসেবে জাতির এই পরম লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের ভূমিকা অত্যাধিক। 

আমাদের রয়েছে শিক্ষকতার পেশাগত সনদ, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য, কারিকুলাম, পেশাগত বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামো, সমাজের সকলের শ্রদ্ধা, সরকারের আর্থিক নিশ্চয়তা, যথাসময়ে শিক্ষার মূল উপকরণ পাঠ্যবই, শিখন-শেখানো উপকরণ, সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনীর অংশ হিসেবে উপবৃত্তি, সরকারি-বেসরকারী বিভিন্নমূখী সহযোগীতা ইত্যাদি। এই সকল বিষয়কে শক্তি হিসেবে নিয়ে আমাদের শ্রেণি কার্যক্রমে প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োগ করতে হবে। বর্তমান শিখন-শেখানের কাজে প্রযুক্তি উল্লেখযোগ্য ব্যবহার করা হয়। 

জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ উল্লেখযোগ্য দিকসমূহঃ

একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে যুগোপযোগী আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক গুণগত মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন।

শিক্ষার সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করা এবং নতুন প্রজন্মকে দক্ষ মানব সম্পদে উন্নীত করার মাধ্যমে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের  তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ও জীবনধর্মী দক্ষতানির্ভর শিক্ষা প্রদান করা। 

প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকগণের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদ্যালয়গুলোতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শ্রেণীকক্ষ স্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা।

এ সব উদ্যোগ বাস্তবায়নে জেলা পর্যায়ে জেলা শিক্ষা অফিসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।জেলা শিক্ষা অফিস প্রধানত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসাসমূহের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত থাকলেও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের নানাবিধ কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, এনটিআরসিএ, ব্যানবেইসসহ মাধ্যমিক শিক্ষা খাতে বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্প সাধারনত জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমেই তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। শিক্ষা মন্ত্রাণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও আঞ্চলিক পরিদপ্তরের মাধ্যমে প্রাপ্ত যাবতীয় নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের মূল দায়িত্ব জেলা শিক্ষা অফিসের উপর ন্যাস্ত। এ ছাড়া মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর সরবরাহ জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকান্ডের একটি অন্যতম দিক। জেলার শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে জেলা প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান, জেলার বিভিন্ন কমিটিতে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অনিয়ম ও দূর্নীতি রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রয়োজনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ প্রদান, বিভিন্ন জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন ও আওতাধীন শিক্ষা  প্রতিষ্ঠানসমূহ মনিটরিংসহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদির ফলে জেলা শিক্ষা অফিসের কাজের ব্যপকতা ও বিস্তৃতি বর্তমানে অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেবা গ্রহীতা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সন্মানিত শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক, পরিচালনা কমিটির সদস্য, জন প্রতিনিধি, মিডিয়া সদস্য, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় যে কোন উন্নয়ন কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে জেলার মাধ্যমিক শিক্ষার সার্বিক মান উন্নয়নে আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  

উত্তম খীসা

জেলা শিক্ষা অফিসার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।

ডাউনলোড
ছবি
প্রকাশের তারিখ
06/01/2021
আর্কাইভ তারিখ
30/09/2026